ওমর ফারুক
(উৎসর্গ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমিকে)
বহুদূর থেকে এসেছি জলালোয়
অযুত আলোকবর্ষ হতে
ফিরে যাব ঠিক একই বহুদূরে
দিনহীন আলোকের প্রাতে
বিরহের আঘাতে ফিনকি মন
অধীর
গাঁথে তাবুত বন্ধন কামুক বেকুব
সকল জংলার সাথে
একটি বাসরের সুবাতাস পায়নি বলে
হায়রে দিশাহীন কবি
কাঙাল মন
মিলনের প্রিয়রে পাওনি বলে জোটেনা বাসর
তা ও বোঝনি
শুধুই দূরন্তে ছুটে চলি স্বভাবিত দেহ নিয়ে
অশ্বের পিঠে
আমার অশ্বের নাম সময়
সময়ের ভ্রমণ
সময় কি পারে প্রিয়কে এনে দিতে বুকে
নাকি আমার বন্ধনহীন মন
গড়িবে সরস প্রিয়ার বাঁশরী অংগ
মিলন রাতে
মিলনের রাত প্রবালের আলোয় প্লাবিত
সিরাতে তাহার গুল সিফাত প্রপ্রাপিত
এখানে এখন অভিষিক্ত কুমার-কুমারীর শেষ মৃত্যু
মৃত্যুর মালায় যে প্রেম দেয় যে প্রেয়সী
সে নীল নীলিমা সে শিরীন সে বুলবুল
সে প্রেম-বিকাশী
এ প্রিয়া খৈয়ামের
খৈয়ামের প্রিয়া নিয়েছে রুমি
নিয়েছে হাফিজ
নিয়েছে নজরুল
হয়ে বুলবুল
আমিও হরিব ডাকাতি করিব উহার প্রিয়ারে
কি জানি কি কহি
আকাশের চাঁদ ছুঁইতে চাহি
দৈন্য আমি
তবু ভিখ মাগি
প্রিয়ারে চাহি
প্রেয়সীর রূপ আপনায় খুঁজি
চকিতে চপলার পদধ্বনি শুনি
যদ্যপি সে লুকিয়ে কাঁদায়
নীলিমার মত হারিয়ে পালায়
তবু শরতের আকাশ ধিয়ানে বাঁধিয়া রাখি
মন কুন্তলী বিনুনি খোঁপায়
শোন নীলিমা শোন প্রিয়তমা
তোমারে খুঁজিতেই মায়ায় এসেছি
বহুদূর থেকে এসেছি
দূরে ফিরে যাব
একই বহুদূরে
একই বহুদূরে।