শনিবার, সন্ধ্যা ৭:৫৮, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার, সন্ধ্যা ৭:৫৮, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাত আটটার দিকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়, এবং বিক্ষোভকারীরা বাড়িটিতে ঢুকে ভাঙচুর চালান।

এ সময়, বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী ৩২ নম্বর এলাকায় মিছিল করে এবং স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। কিছু বিক্ষোভকারী বাড়ির ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন অংশ ভাঙার চেষ্টা করেন, এবং বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, এই বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, এবং পরে বাড়িটি স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

গত ৫ আগস্ট, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে, বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছিল, এরপর থেকে বাড়িটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

এর আগে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেওয়া হয়। একইসাথে ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ঘোষণাও করা হয়।

আজ সন্ধ্যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের পরিকল্পনা ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি ফেসবুকে একাধিক পোস্টে বাড়িটি ভাঙচুরের হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষোভকারীরা রাত আটটার আগেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছে প্রথমে বাড়ির ফটক ভেঙে ফেলেন, এরপর ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে, বাড়ির তৃতীয় তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়, এবং রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে দেয়াল ভাঙতে শুরু করেন।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, “আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।”

Scroll to Top