তিনতলা কেকটি পুরোপুরি আল নাসরের জার্সির রঙে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, আর তৃতীয় তলায়ও একই রকম ছবি। এখানে স্পোর্টিং লিসবনের তরুণ রোনালদো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উদীয়মান তারকা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের পরিণত রোনালদো এবং অবশেষে আল নাসরের ‘বুড়ো’ রোনালদো—এই সমস্ত ছবি স্থান পেয়েছে। তবে ‘বুড়ো’ বলা শুধু বয়সের কারণে। তবে রোনালদো কি তার শরীরের এই বয়স অনুভব করেন?
দেখে মনে হয় না। তার জীবন ও ক্যারিয়ারের এই বার্তা কেকের ছাদে একটি বিশেষ ভাস্কর্যে ফুটে উঠেছে। রোনালদোর বাইসাইকেল কিকের ছোট্ট এক ভাস্কর্য, যেখানে সে পরিহিত আল নাসরের জার্সি। যদিও রোনালদো আল নাসরে এই কিকে গোল করেননি, তবুও ক্লাবটি সম্ভবত সেই আশায় রয়েছে, তাই তার জন্মদিনে কেকের উপর এই ভাস্কর্য। চল্লিশ বছর বয়সী রোনালদোকে এখনও এই ধরনের গোলের আশা করা হয়, এক ধরনের অপ্রত্যাশিত বিষয়!
এটি সত্যি যে ৫০ বছর বয়সেও কেউ বাইসাইকেল কিক করতে পারেন—কিন্তু সেটা সাধারণত কোনো অপেশাদার ম্যাচেই হতে পারে। তবে রোনালদো ভিন্ন। তার অনেক সহকর্মীই ক্যারিয়ারের এই সময়ের মধ্যেই কোচিং বা অন্য কোন কাজে মনোযোগ দিয়েছেন। কিন্তু রোনালদো আজও একটি দেশের শীর্ষ লিগে খেলে যাচ্ছেন এবং দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সৌদি প্রো লিগে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে তিনি ২৫ ম্যাচে ২৩ গোল করেছেন। যখন চল্লিশের কোঠায় কেউ এমন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন, তখন আশা তো থাকবেই।
এই আশার মূল দৃষ্টিকোণ একটাই—রোনালদোর শরীর। তার অবিশ্বাস্য ফিটনেস। যেমন মিকেলাঞ্জেলো ‘ডেভিড’ ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন নিপুণ দক্ষতায়, তেমনই রোনালদো তার শরীরটিকে তৈরি করেছেন দিনরাতের কঠোর পরিশ্রমে। ফুটবল দুনিয়ায় তার ফিটনেস এমন এক উদাহরণ, যা ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে। যদি কোনো খেলোয়াড় চল্লিশ পেরিয়েও খেলা চালিয়ে যেতে চান, তবে তাকে রোনালদোর মতো প্যাশন থাকতে হবে।