বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শিকার হয়েছে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকারের উপর বর্তায়।
আজ সোমবার রাত পৌনে আটটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে দলের উদ্বেগের বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। এটি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কর্তব্য এবং বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারে না, কারণ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীর সামনে এসব ঘটনা ঘটেছে, ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা এই সুযোগ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বারবার বলে আসছে, বর্তমান সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাই দ্রুত নির্বাচনের জন্য তাদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
ন্যূনতম সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসনে যারা “ফ্যাসিবাদের দোসর” ছিলেন এবং দেশের সম্পদ লুট করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপি, পাশাপাশি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা হলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা, তবে তারা জানিয়েছে যে, কাজ চলছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে জানান যে, বিএনপি “ডেভিল হান্ট” অভিযানে নিরপরাধ নাগরিকদের হয়রানির শিকার হতে না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার কাজ করছে,” এবং আশা প্রকাশ করেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে এবং একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো অবস্থাতেই একমত হব না। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না।”
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সালাহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।