রবিবার, রাত ১২:২৯, ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবিবার, রাত ১২:২৯, ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো আপস নেই: নুরুল হক নুর

..গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদ কোন আপস করবে না। জাতির দুর্ভাগ্য, তার সাহসী সন্তানরা রাজপথে লড়াই করে নতুন ইতিহাস তৈরি করছে, কিন্তু কিছু মানুষ সেই সুবিধা ভোগ করছে। এবার আমরা তা হতে দেব না।’

শুক্রবার, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলের পর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এই মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘ভোট এবং নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তেমন কিছু শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি, গণঅধিকার পরিষদ ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১২-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ১৬ বছরের লুটপাটের বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবং গণসংযোগ চলবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।’

এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানাই। ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার জন্য রাজপথে নামতে হবে? এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে অবস্থান করছে, যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের মুক্তি এবং জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকরা সুপারিশ করছে। গত ৬ মাসে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, কিন্তু ৬ মাসেও তারা এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, জনগণ ক্ষমা করবে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একসাথে গণহত্যা চালিয়েছে। এ রিপোর্টের পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার এবং গণহত্যার বিচার করার গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আমরা ৬৪ জেলার ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্পষ্ট কথা, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করা হবে।’

বিক্ষোভ ও গণমিছিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top