শনিবার, রাত ৮:২৫, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার, রাত ৮:২৫, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র শবে বরাত রোজার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে

আরবি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, শাবান মাসের পর রমজান মাস আসে, এবং পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। শবে বরাতের রাত থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়।

শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবস, যা শাবান মাসের পঞ্চদশ রাতে পালিত হয়। এটি সৌভাগ্য রজনী হিসেবে পরিচিত, এবং মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়। সারা রাত ইবাদত-বন্দেগি, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, এবং গুনাহ মাফের আশা করা হয়। উপমহাদেশের মুসলমানরা এই রাতে কবরস্থানে গিয়ে তাদের প্রিয়জনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

শবে বরাতে নফল ইবাদতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হাদিস অনুযায়ী, এটি ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘অর্ধ শাবানের রাত’ নামে পরিচিত। হাদিসে বলা হয়েছে, শিরককারী ও হিংসুক ব্যক্তিদের ছাড়া আল্লাহ সব সৃষ্টিকে ক্ষমা করেন। মুসলমানরা এই রাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের জীবনের পরিশুদ্ধি কামনা করেন। শবে বরাতকে ভাগ্য নির্ধারণের রাত হিসেবে দেখা হয়, কারণ এই রাতে রিজিক, সুস্থতা, এবং বিপদ থেকে পরিত্রাণের দোয়া করা হয়। এ কারণে, অনেক মুসলমান শবে বরাতের আগে ও পরে রোজা রাখেন।

ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সারা বছর এই রাতের জন্য অপেক্ষা করেন। নফল ইবাদতের পাশাপাশি কিছু সামাজিক আনুষ্ঠানিকতাও পালন করেন, যা তাদের ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। শবে বরাতের পর দুই সপ্তাহ পর শুরু হয় রোজা, এবং এই রাত থেকেই সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি শুরু হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top