রবিবার, সকাল ৬:৪৩, ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবিবার, সকাল ৬:৪৩, ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কেন প্রয়োজন?

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি নিরাপদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শারীরিক সমস্যা এবং ব্যথার চিকিৎসায় সহায়ক। অনেক সময় ঔষধের ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং শরীরের দুর্বলতা বাড়ে, কিন্তু ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এর থেকে নিরাপদ বিকল্প। এটি শারীরিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে সহায়ক।

ফিজিওথেরাপি একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ব্যথা, যন্ত্রণা, এবং অসুস্থতার উপশমে কার্যকর। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং দৈনন্দিন কাজের দক্ষতাও বাড়াতে সাহায্য করে। এর কিছু প্রধান সুবিধা:

১. যন্ত্রণা ও ব্যথা কমানো: ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শারীরিক ব্যথা কমাতে সহায়ক। এটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে এবং শরীরের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।

২. ম্যাসাজ ও থেরাপি: ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ম্যাসাজ ও থেরাপি ব্যবহার করা হয়, যা স্থানীয় যন্ত্রণা এবং অসুস্থতা কমাতে সাহায্য করে।

৩. প্রতিবন্ধী চিকিৎসা: যখন শারীরিক সমস্যা ঔষধ বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে সমাধান হয় না, তখন ফিজিওথেরাপি একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে, যা শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

প্রতি সোমবার ফিজিওথেরাপি বিষয়ে চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।
আজকের চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন-

ডা.টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম (স্বপন), ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।
বিপিটি (নিটোর), এম ফিল (বিএসএমএমইউ), এন ও এম এ- ফেলো ( অসলো বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ে)
০১৭৯৫৫৪৩৮৩৯

মসজিদে কেন চেয়ার?

কেসঃ১
৪২ বছরের লাকি খানম, উঁচু নিচু রাস্তায় হাটার সময় হোচট খেয়ে পরে গিয়ে হাটুতে ব্যথা পান ও হাটুর কিছু অংশের চামড়া ছুলে যায়। ডাক্তার তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন এবং হাটু ৯০°এর বেশি ভাঁজ না করতে পরামর্শ দেন। কিছুদিন ঔষধ নিতেই তার ব্যথা কমে যায় এবং ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়। লাকি খানম ২ মাসে অধিক সময় হাটু ভাঁজ করা থেকে বিরত থাকেন, এরপর ভাঁজ করতে গিয়ে দেখেন তার হাটু ৯০°এর বেশি ভাঁজ হচ্ছে না এবং জোর করে ভাঁজ করতে গেলে তীব্র ব্যথা হচ্ছে।

কেসঃ২
আলতাফুর রহমান সাহেবের বয়স ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে হাটুতে অল্প অল্প ব্যথায় ভুগছেন। হাটু ভাঁজ করে বসতে গেলেই ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে এবং হাটু ভাঁজ করতে পারছেন না। তিনি লক্ষ্য করলেন তার হাটু বেশ ফোলা ও ব্যথার মাত্রা দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে, গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার সাহেব তাকে দেখে শুনে উপযুক্ত ঔষধ ও হাটু ভাঁজ না করে বসার পরামর্শ দিলেন। এরপর থেকে রহমান সাহেব হাটু ভাঁজ করাই ছেড়ে দিয়েছেন, নামাজ পড়েন চেয়ারে বসে। এভাবেই মসজিদগুলো জায়নামাজের পরিবর্তে ভরে যাচ্ছে চেয়ারে!!

বিষয় দুটি উল্লেখ করার কারণ হল- আমাদের দেশে রুগী ও চিকিৎসক উভয়েরই সামান্য একটা ভুলের কারনে অগণিত মানুষ শারীরিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। রুগীদের বেশ বড় একটা অংশ, সঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছে দ্বিতীয় বারের জন্য বা ফলোআপের জন্য যান না। অন্যদিকে চিকিৎসকেরা রুগিকে পরামর্শ দেওয়ার সময়, রুগি কতদিন বিশ্রামে থাকবেন, কতদিন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া বন্ধ রাখবেন- এ বিষয়গুলো স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন না। আবার দেখা যায়- হাড়গোড়, মাংসপেশি ও স্নায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া কিংবা কোন অঙ্গের অসারতা বা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রুগীকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিষ্টের কাছে রেফার করেন না; অথচ এসব রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হল- ফিজিওথেরাপি। একজন গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট রুগীকে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তার রোগ বা প্রতিবন্ধকতার কারণ নির্ণয় করে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম ও অন্যান্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা উপকরণের মাধ্যমে এসব রুগীকে চিকিৎসা ও শারীরিকভাবে পুনর্বাসিত করে থাকেন।

ডা.টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম (স্বপন), ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।
বিপিটি (নিটোর), এম ফিল (বিএসএমএমইউ), এন ও এম এ- ফেলো ( অসলো বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ে)
০১৭৯৫৫৪৩৮৩৯

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top