কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ছয় ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। কিশোরী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর ছোট বোন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিল এবং তার চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীর বাবা তার মায়ের একটি গরু বিক্রি করেন। পরে কিশোরীর দূরসম্পর্কের দাদা, আবদুল কাদের, গরু চুরির অভিযোগ এনে হুমকি দেন এবং চৌকিদার পাঠান। বাবার বিরুদ্ধে অপবাদের প্রতিবাদ করায়, আবদুল কাদের ওই কিশোরীকে তার উঠানে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।
ওই কিশোরী ভিডিওতে জানান, অপবাদের প্রতিবাদ করায় ও দাদির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় এবং শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়। কিশোরী এ ঘটনায় জড়িতদের নামও প্রকাশ করেছে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে বেলা তিনটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, কিশোরীর বোনের চিকিৎসার জন্য তার বাবা গরু নিয়ে আসলে কিশোরী তার দাদিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে দাদি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্থানীয় নারীরা কিশোরীকে বেঁধে রাখেন।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন জানান, কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মায়া বেগম নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিশোরী লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।