সিরাজগঞ্জের দুই উপজেলায় লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট পোড়ানোর দায়ে ৯টি ইটভাটাকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া, একটি ইটভাটাকে বন্ধ করা হয়েছে এবং আরেকটির চিমনি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ ইটভাটা মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম জাগো নিউজকে জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এর ফলে ৯টি ইটভাটাকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, একটির চিমনি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয় এবং আরেকটি ইটভাটা বন্ধ করা হয়।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, বেশ কিছু ইটভাটা মালিক দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইট পোড়াচ্ছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় রায়গঞ্জের মেসার্স সুরমা ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, এইচ এস ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, এইচ আলী ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, এসএনবি ব্রিকসকে চার লাখ, সান ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, হিরো ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, সুপার ব্রিকসকে দুই লাখ ৫০ হাজার, রেজা ব্রিকসকে দুই লাখ ৫০ হাজার এবং সদর উপজেলার মেসার্স রাইন ব্রিকসকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং আংশিক চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া, জেনিন ব্রিকসের চিমনি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয় এবং আলফা ব্রিকস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অভিযানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব-১২ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।