কুইপু শব্দটি কিছুটা গুচ্ছিত বা পেঁচানো কাঠামো হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে গ্যালাক্সি, ক্লাস্টার এবং বৃহত্তর কাঠামো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি মহাবিশ্বের বৃহত্তম কোষ হিসেবে ধারণা করা হয়, যা পুরো মহাবিশ্বের ব্যাপক বিস্তৃতি এবং ডাইমেনশনকে প্রকাশ করে।
এমন আবিষ্কারের মাধ্যমে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের আরও গভীর এবং বিস্তারিত বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এটি মহাজাগতিক শক্তি, গঠন এবং তার গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করবে, এবং আমাদের গ্রহের অবস্থান সম্পর্কেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক হবে।
মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামো ‘কুইপু’ সম্পর্কে সম্প্রতি এক উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হয়েছে। এটি একটি বিশাল এবং জটিল গঠন যা আমাদের মহাবিশ্বের এক বিরাট অংশকে নিয়ে গঠিত। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, কুইপু হল মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জটিল কাঠামো, যা একাধিক গ্যালাক্সি, গ্যালাক্সি ক্লাস্টার, এবং আরও অনেক মহাজাগতিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ আমাদের মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।
কুইপু শব্দটি কিছুটা গুচ্ছিত বা পেঁচানো কাঠামো হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে গ্যালাক্সি, ক্লাস্টার এবং বৃহত্তর কাঠামো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি মহাবিশ্বের বৃহত্তম কোষ হিসেবে ধারণা করা হয়, যা পুরো মহাবিশ্বের ব্যাপক বিস্তৃতি এবং ডাইমেনশনকে প্রকাশ করে।
এমন আবিষ্কারের মাধ্যমে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের আরও গভীর এবং বিস্তারিত বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এটি মহাজাগতিক শক্তি, গঠন এবং তার গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করবে, এবং আমাদের গ্রহের অবস্থান সম্পর্কেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠামো আবিষ্কার করেছেন, যার নাম “কুইপু” (Quipu)। এটি একটি বিশাল ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) জট, যা আমাদের জানা মহাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় কাঠামো হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩২ কোটি আলোকবর্ষ, যা এটিকে মহাবিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কাঠামোতে পরিণত করেছে। এই কাঠামোটি বহু গ্যালাক্সি এবং গ্যাসের ফিলামেন্ট বা জালের মতো ছড়িয়ে আছে, যা মহাবিশ্বের বৃহৎ স্কেলে দেখতে পাওয়া যায়।
নামকরণের কারণ: “কুইপু” নামটি এসেছে প্রাচীন ইনকা সভ্যতার একটি গাণিতিক গণনা সরঞ্জাম থেকে, যা দড়ির উপর গিঁট দিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করত। গ্যালাক্সি ফিলামেন্টের আকৃতি ইনকা সভ্যতার কুইপুর মতো জটিল এবং সংযুক্ত হওয়ায় এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। কুইপু গ্যালাক্সি ফিলামেন্ট প্রায় ১.৩২ বিলিয়ন আলোকবর্ষে বিস্তৃত এবং এতে প্রায় ২০০ কোয়াড্রিলিয়ন সৌর ভর রয়েছে।
গবেষণা ও আবিষ্কারের প্রক্রিয়া: বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোগুলোর মানচিত্র তৈরি করার জন্য কাজ করছেন, যেখানে তাঁরা বিভিন্ন আলোর তরঙ্গ ব্যবহার করে মহাবিশ্বের বস্তুগুলোর বিন্যাস বিশ্লেষণ করছেন। দূরবর্তী মহাজাগতিক বস্তুগুলোর আলো লাল রঙের দিকে সরে যাওয়াকে “রেডশিফট” বলা হয়। সাধারণত ০.৩ পর্যন্ত রেডশিফটযুক্ত বস্তুগুলোর মানচিত্র তৈরি হয়েছে, তবে এই গবেষণায় ০.৩ থেকে ০.৬ রেডশিফটযুক্ত বস্তুগুলোর ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। রেডশিফট যত বেশি, বস্তু ততই দূরবর্তী।
তাঁরা যে বিশাল কাঠামোটি আবিষ্কার করেছেন, সেটি আকাশের মানচিত্রে সহজেই দৃশ্যমান এবং এটি একটি “সুপারস্ট্রাকচার” বা অতিবৃহৎ মহাজাগতিক কাঠামো। এ ছাড়া, বিজ্ঞানীরা আরও চারটি বিশাল কাঠামো পেয়েছেন—সার্পেনস-কোরোনা বোরিয়ালিস সুপারস্ট্রাকচার, হারকিউলিস সুপারস্ট্রাকচার, স্কাল্পটর-পেগাসাস সুপারস্ট্রাকচার, এবং শ্যাপলি সুপারক্লাস্টার। এর মধ্যে শ্যাপলি সুপারক্লাস্টারটি আগে পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক কাঠামো হিসেবে পরিচিত ছিল, তবে কুইপু এবং অন্যান্য কাঠামোগুলি সেটিকে ছাড়িয়ে গেছে।
এই পাঁচটি মহাকাশীয় কাঠামো মিলে মহাবিশ্বের প্রায় ১৩% স্থান জুড়ে রয়েছে। এছাড়াও, এগুলোর মধ্যে মহাবিশ্বের ৪৫% গ্যালাক্সি ক্লাস্টার, ৩০% গ্যালাক্সি এবং ২৫% ম্যাটার রয়েছে। অর্থাৎ, এই কাঠামোগুলি মহাবিশ্বের গঠন ও বস্তু বণ্টনের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
এই আবিষ্কার কেন গুরুত্বপূর্ণ? এতো বড় কাঠামোর অস্তিত্ব আমাদের মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দিবে। এটি মহাবিশ্বের “কসমিক ওয়েব” বা ছায়াপথের জালের আরেকটি উদাহরণ, যা দেখায় মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলো কীভাবে ছড়িয়ে আছে। পাশাপাশি, এটি মহাবিশ্বের ডার্ক ম্যাটার এবং মহাকর্ষের কাজ বোঝাতে সাহায্য করবে।
কুইপু কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে? কুইপু SDSS (Sloan Digital Sky Survey) নামক টেলিস্কোপিক অনুসন্ধান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মহাবিশ্বের বিশাল অংশের মানচিত্র তৈরি করে। এটি এমন একটি অঞ্চলে পাওয়া গেছে যেখানে প্রচুর গ্যালাক্সি এক অসাধারণ নকশায় সংযুক্ত রয়েছে।
উপসংহার: কুইপু মহাবিশ্বের বিশালতা এবং তার জটিল কাঠামো বোঝার নতুন দিক উন্মোচন করেছে। এটি পরিষ্কারভাবে দেখায় যে, মহাবিশ্বের বৃহৎ কাঠামোগুলো বিশৃঙ্খল নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট বিন্যাসে গঠিত। ভবিষ্যতে আরও গবেষণা আমাদের মহাবিশ্বের অজানা রহস্য উন্মোচনে সহায়ক হবে।