বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার দাবি জানিয়েছে, অভিযোগ করে যে, তিনি জুলাই ও আগস্টের অভ্যুত্থানে চলমান গণহত্যা বিষয়ে নীরব ছিলেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি, কিন্তু সেই সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নীরব ছিলেন। এটি সবারই জানা যে, তিনি শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এমপিরাও পালিয়ে গেছেন, অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি এখনও বহাল আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে পদত্যাগের দাবি ওঠলেও তিনি সরে যাননি। জনগণও তাকে মেনে নেয়নি, তিনি কেবল কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।”
তিনি ক্যাম্পাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেন, “আমাদের দাবি, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা না রাখুন। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাবেন।”
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদ এর মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়, পরে এতে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি, জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহত রানা তালুকদারের পরিবারও এই কর্মসূচিতে সংহতি জানায় এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। এরপর অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে, যেখানে গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি এবং সংগীত পরিবেশনসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন চলছে।