নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমানে দুটি পক্ষের মধ্যে বিতর্ক চলছে—এক পক্ষ বলছে জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে, আর অন্য পক্ষ দাবি করছে স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে। যদি এভাবে বিতর্ক চলতে থাকে, তবে দেশটির কোনো নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হবে না। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের পরিস্থিতি মার্শাল ল’র দিকে চলে যাবে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জে শহীদ মীর মুগ্ধ স্কয়ারে উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, “আমি তারেক রহমানকে ফোন দিয়েছিলাম। প্রথমে তিনি ফোন ধরেননি, তবে পরে কল ব্যাক করেছেন। তখন আমি শিবগঞ্জের পরিস্থিতি তাঁর কাছে তুলে ধরলে, তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের মুরব্বি, আর আপনার সঙ্গে কে এমন আচরণ করেছে? আমি তাদেরকে বলব।’”
এর আগে, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারী আখ্যা দিয়ে তাকে এলাকায় প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এছাড়া, মাহমুদুর রহমান মান্না শিবগঞ্জের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শিবগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে আহত হন এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় আছেন। শিবগঞ্জের ঘটনায় থানায় মামলা করলেই ওসি ৪-৫ জন আসামির নাম কেটে দেওয়ার কথা বলেন। যখন আমাকে বলা হলো শিবগঞ্জে আসতে দেওয়া হবে না, তখন আমি সেখানে এসেছি। আমি যদি হুঁশিয়ারি দিই, তাহলে শিবগঞ্জে ভূমিকম্প হবে।”
শিবগঞ্জ পৌর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, উপজেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত বাদশা, জেলা নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্যের নেতারা সাইদুর রহমান সাগর, এনামুল হক, সৈকত বিদ্যুৎ, মাহবুব মোর্শেদ হীরা, অমিদ হাসান, হারুনুর রশিদ, সাজু, জেলা নাগরিক যুব ঐক্যের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, আ. রহমান, উপজেলা যুব ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ তুষার ও সৈকত আহমেদ।