বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, “আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োজিত ছিলাম। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আমি মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।” তিনি আরো বলেন, “আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।”
এটি উল্লেখযোগ্য যে, ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।
তিনি ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় স্নাতক প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন এবং একই বছরে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার টেলিভিশন প্রডিউসার্স ট্রেনিংয়ে প্রথম হন। এছাড়া ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তার কিছু আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘অচিনপাখি ইনফিনিটি’, ‘ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ’, ‘ইন প্রেইজ অব নিরঞ্জন’, ‘ইসলাম থিয়েটার’, ‘এন্ড বাংলাদেশ’, ‘রিডিং এগেইন্সট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন’, ‘পারফরম্যান্সস অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইন্ড উইথ আ বুদ্ধিস্ট স্ট্রেইন’, ‘অ্যাপ্লাইড থিয়েট্রিক্স’, ‘এসেস ইন রিফিউসাল’।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ একাধারে পণ্ডিত, নাট্য পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার উল্লেখযোগ্য থিয়েটার প্রযোজনাগুলির মধ্যে রয়েছে- ‘কমলা রানীর সাগর দীঘি’ (১৯৯৭), ‘এক হাজার আর এক থি রাত’ (১৯৯৮), ‘বেহুলার ভাসান’ (২০০৪), ‘পাহিয়ে’ (২০০৬) এবং ‘সং ভং চং’ (২০০৬)।