মোঃসুজন আহমেদ
সিরাজগঞ্জ
বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ঘোষিত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অলিদহ জুম্মা মসজিদের কমিটির বাতিলের দাবিতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় মুসল্লিরা। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অলিহদ গ্রামের পাকা রাস্তায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন অলিদহ গ্রামের সচেতন জনগণের ব্যানারে স্থানীয় মুসল্লিগণ ও এলাকাবাসি।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ে অলিদহ গ্রামের জনগণনের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ একাধিক মুসল্লিগণ বলেন, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ঘোষিত মসজিদে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটিতে ৭ জন সদস্যই আওয়ামীলীগের পদধারী নেতা। তাছাড়াও তারা এই মসজিদের কেউ নামাজ পরে না ও আমাদের মহল্লার কেউ না। বিগত দিন থেকেই তাড়া মসজিদের কমিটি নিয়ে নানানভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
আরো অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগদের সাথে নিয়ে ছানোয়ার নামে অন্য মহল্লার এক ব্যক্তি কমিটি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। অপর দিকে আমরা গ্রাম বাসি ও আমাদের মহল্লার মুসল্লীদের নিয়ে একটি কমিটি অনুমোদন পাওয়ার জন্য আবেদন করি। পরে দুই পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে ছানোয়ার গংদের পক্ষে ৪ জন উপস্থিত হয়। এবং আমাদের পক্ষে মহল্লার মুসল্লীসহ গ্রামের সকল সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়। তার পরেও জানতে পারি টাকা বিনিময়ে তারা কমিটি অনুমোদন নিয়ে আসছে। তারা মসজিদের সম্প্রত্তি ভোগদখল করার জন্য তারা তাদের লোক জনকে নিয়ে মনগড়া কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বিলুপ্ত না করলে আমরা গ্রাম বাসি কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও ঘোষনা দেন ।
অলিদহ জুম্মা মসজিদের ইমাম আবুল বাশার ওলিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এই মসজিদে কর্মরত আছি। ছানোয়ার গংদের আমি কখনো এই মসজিদে নামাজ পরতে দেখিনি। তারা এই মসজিদের মুসল্লিও না। আমাদের দাবি যারা এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ে তাড়াই এই মসজিদ কমিটিতে আসুক। এবং মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পে তারা কাজ করে যাক। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে গ্রামের প্রায় শতাধিক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।