বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং কাজী হাবিবুল আউয়াল এর বিচার দাবি করেছেন। তিনি এই দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়ে দায়ের করা মামলায় আদালতের রায় পক্ষে আসার পর।
ইশরাক বলেন, এই তিন সিইসিকে সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যেন তারা কোনো প্রকার চাপ বা প্রভাবের বাইরে থেকে কাজ করেন। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় কেএম নূরুল হুদা সিইসি ছিলেন। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত হন ইশরাক। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস সোয়া ৪ লাখ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যেখানে ইশরাক পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট।
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ইশরাক মামলা দায়ের করেন। পাঁচ বছর পর, বৃহস্পতিবার, ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম মামলার রায় দেন। আদালত সিইসির গেজেট বাতিল করে শেখ ফজলে নূর তাপসের জায়গায় ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
ইশরাক বলেন, “আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি যে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে, আমি মেয়র হিসেবে শপথ নেবো কিনা, তা পুরোপুরি দলীয় সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেন, “পুরো বাংলাদেশ দেখেছে, ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলাম, আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল, মিছিলের ওপর হামলা করা হয়েছিল এবং অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলো খুলতেই দেরি হয়েছিল এবং পরে সব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভোট জালিয়াতি করে আমাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল, আর সেজন্যই আমরা মামলা করেছিলাম। আজ আদালত সেই রায় দিয়েছেন।”