ব্যুরো প্রধান
উল্লাপাড়া উপজেলাধীন পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মির্জা মোঃ ওয়াহিদ সাদিক আমরুল এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যে কোন ব্যক্তির ভূমি সংক্রান্ত কোন কাজ করতে গেলে সব ক্ষেত্রেই তাকে টাকা গুণতে হয়। প্রায় মাস তিনেক আগে তিনি এই অফিসে বদলি হয়ে এসেছেন। অভিযোগকারীরা বলছেন, এখানে আসার পর থেকে উপযুক্ত টাকা ছাড়া তিনি কারোরই কাজই করেন না। আবার কখনো ভালভাবে কাগজপত্র না দেখেই নামজারীর আবেদন বাতিল করে দেন। ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শামাউন নবী গণমাধ্যম কর্মীর কাছে অভিযোগ করে বলেন, তিনি. ০০৯১ একর জমির আবেদনের হার্ডকপি উক্ত ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি অজ্ঞাত কারণে দিনের পর দিন কালক্ষেপণ করছেন। পরে তার সাথে দেখা করে দেরী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনার কাগজপত্রে অনেক ঝামেলা আছে। আমার নিকটে কাজ করতে হলে (বিশ) ২০০০০/- হাজার টাকা লাগবে। তিনি একসাথে এই মোটা অংকের টাকা দিতে না পারার কারণে তার কাজটা বন্ধ হয়ে আছে। তিনি এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করবেন বলে উল্লেখ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যক্তি জানান, তারা তাদের ভূমি নামজারীর আবেদন অনলাইনে জমা দিলেও, হার্ডকপি গ্রহনের সময় ঐ কর্মকর্তা পাঁচ হাজার, দশ হাজার, কারো কাছে পনেরো হাজার, বিশ হাজার টাকা দাবী করেন। উল্লেখিত উৎকোচের টাকা দিতে না পারার কারণে তাদের কাজ আটকে আছে। দিনের পর দিন তারা ঘুরছেন ভূমি অফিসে। এসব ভুক্তভোগী মানুষ আরো জানান,যেসব নামজারী আবেদনকারী অফিসের মাধ্যমে ঘুষের চুক্তি ফয়সালা হয়,তাদের আবেদনের উপরে ছোট করে পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখেন অফিস। আর যারা ঘুষের টাকা দিতে নারাজ,তাদের আবেদনের উপরে পেন্সিল দিয়ে লেখা হয় পাবলিক। এসব ভুক্তভোগী দাবি করেছেন, অবিলম্বে সব অনৈতিক ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে, উক্ত ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোড়দাবী জানান।