ফারহান ইশরাক
.
বিজুলি ধরতে যাবো, অস্তাচলের ঘাটলায়
গুরুমুখী রাত চমকাবে অগোচরে
খাঁচকাটা আলো ভাঙা মেঘে
কিছুটা
মজ্জুব (যদিও এটা অরবি শব্দ
পাগলের স্তব্ধতা এতে এসে থেমে গেছে)
আচ্ছা প্রসঙ্গ ছেড়েই যাচ্ছি নানা সংঘের
দিকে!
জীবন যাবে বীজতৃষ্ণার আন্তরিক
ঘনঘোরে
মৃত্যুসুখের কোরকেই যত ফাঁক!
এখানে তদবির
অকথ্য শামুক
জিভ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না তথাপিও
তৃষ্ণাতৎপর মাছি। এও কিনা অপরাধ:
আছি!
মধুচুম্বকে বসা ধলবক, কাদার গভীরে
ব্যুৎপত্তিসন্ধানী!
একটি রাস্তা অকারণবক্রতাগামী
নয়? মানুষ এক আজব চমকানি
দুঃখিত পারছি না, এই সাঁকো আজন্মসর্পিল
রুটিও তো গোল তাই বলে সে-ও
চাকা প্রাসঙ্গিক হতে পারে?
ভাতবর্তিতা নয়, যাবো ধ্যানশ্যাঁওলায়
পিচ্ছিল, তবে তার গুরুত্ব ভুলছি না
পানির নিচে গোপন চোখের
দরশন হাহাকার! কে ছিল সে,
অগ্নিচুম্বক
ধলবক,
অভাষাসম্ভব?
কান্নাই প্রধানত, যদি টিপ্পনি উহ্য রাখা যায়
একান্ত সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ধরতে যাবো,
এখানে তৃষ্ণাতৎপর মাছি। আছি,
এও কিনা অপরাধ!
ফারহান ইশরাক উপ পরিচালক, বাংলা একাডেমি