নাজমুল হোসেন, স্টপ রিপোর্টার-
আর মাত্র ২দিন বাকী পবিত্র ঈদ উল ফিতরের, ২দিন পরে পালিত হবে মুসলমানদের সর্ব বৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ উল ফিতর। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা থেকে নারী টানে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। এর ফলে সড়ক ও নৌ-পথে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। তবে গত ঈদের তুলনায় এবার যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে স্বস্তিতে যার যার গন্তব্যে ফিরছেন ঈদের ঘরমুখো যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের চলাফেরা এবং ফেরি-লঞ্চে চাপ দেখা যায় পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের সাথে বহু সংখ্যক যাত্রীরা । একই চিত্র দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরী ঘাটে দেখা যায় । প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে। এ বছর দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট ও ভোগান্তির কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যে, ফেরি ও লঞ্চ থেকে নেমে দ্রুত গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।ঢাকা থেকে আসা যাত্রী আবুল বাসার বলেন, গত কয়েকটি ঈদের মত এবারও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যাচ্ছি প্রিয়জনদের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। হাবিব,মনির, জুয়েল, সিমলা বেগম ও অনেক যাত্রীরা বলেন এবার আমরা অনেক খুশি কারণ পথে যানজট নেই, এমনকি ফেরিঘাটেও কোনো সমস্যা হয়নি নেই দালাল, ছিনতাই কারীদের হয়রানি। একই ভাবে অনেক যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ফেরিঘাটে ভোগান্তির সমস্যা অনেকটাই কমেছে। এবারও কোনো সমস্যা হয়নি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ২০ লঞ্চ ও ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে এবং বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সালাহ্উদ্দিন জানান, “যাত্রীদের জন্য ফেরিতে উঠতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না এবং আশা করছি, ঈদের পরেও যাত্রীদের বাড়ি থেকে কাজস্থলে যাওয়ার পথ সুগম হবে।” দৌলতদিয়া ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ বছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা স্বস্তিতে ফিরতে পারেন সেই ব্যাবস্হা করা হয়েছে এবং কোন ভাবে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেই দিকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, “ঘাটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, দালাল ও যানজট কমাতে পুলিশের ব্যাপক টহল দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি। এভাবে, এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক ছিল, যার ফলে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। প্রশাসন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে ঈদের যাত্রা এ বছরও সফল হয়েছে এবং এতে জনগণের মধ্যে ভালো একটি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে।
ছবি যুক্ত : নাজমুল হোসেন,