টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম স্বপন
নারী, আজ নাকি আন্তর্জাতিক নারী দিবস! বড় হাস্যকর। নারী, তোমার কোন দিন নেই, স্থান কাল পাত্র নেই, তোমরা তো কেবলই পণ্য; ভোগের সামগ্রী। তোমরা কি করো, না করো, কি পরিধান করো- হাত কাটা, পিঠ খোলা, ওড়না ছাড়া, কিংবা হিজাব বোরকা মোজা; তাতে কি? আমরা পুরুষ! আমাদের চোখে কোন পাতা নেই, পর্দা নেই। এ দুটো আসলে শুধুই চোখ নয়, এক একটা X-ray, CT Scan, MRI মেশিন। আমাদের মস্তিষ্ক যেন RADAR, পেরিস্কোপ। নারী তুমি যেখানেই থাকো- শিক্ষালয় কর্মশালায়, রাস্তা কিংবা বাজার; আমাদের পৌরুষ দন্ড ক্ষীপ্ত হয়, সিগনাল দেয় রাডার। ভঙ্গ হয় ওজু। ওহে! বেপর্দা নারী, ঈমাণ নস্টের দায়ে আল্লাহর দরবারে মামলা করিব ঋজু। তোমরা বেহায়া বেপর্দা, ঢেকে থাকার উপদেশ দিলে অভিযোগ দাও, জেলে ভরো। সাহস কত! আমরা আছি না, আমাদের জ্ঞাতি ভাইকে মুক্ত করি, ঘেরাও করে জেল। সে তো মোদের উন্নত মম শির! গলায় ফুলের মালা জরিয়ে, মাথায় পরাই পাগড়ি, সে যে তৌহীদি জনতার বীর! সৃষ্টির আদি কাল থেকে আমরা তোমাদের গৃহ বন্দী রেখেছি, তখনও কিন্তু তোমরা ছিলে আদিমতম পাশবিকতার শিকার। শোন, গতকালের একটা ঘটনা বলি- তোমাদেরই ১৪ বছর বয়সী এক নারীর উপর তার শ্বশুরের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। মেয়েটি তার মাকে বলে- মা গো, এখানে একা থাকতে আমার বড্ড ভয় হয়। মা তার ছোট মেয়েটাকে, বড় বোনের নিরাপত্তার জন্য পাঠায়। ৮ বছর বয়সী ছোট মেয়েটিও তার দুলাভাই ও তালুইয়ের লোলুপতা থেকে শেষ রক্ষা পায়নি। ধ*র্ষণ করে পিতা পুত্র মিলে! সে তো মাসুম বাচ্চা, নারীত্ব জাগেনি, বয়স হয়নি ঢেকে রাখার। তবুও রেহাই পায়নি আমাদের বীর পশুদের লোলুপ দৃষ্টি ও পাশবিকতার। আজ ৮ই মার্চ, তোমাদের দিন। উপহার নিবে না? জানি না আর কত নারীর হয়েছে সর্বনাশ! আপাতত লও, ঐ ধ*র্ষিত ৮ বছরের নারী শিশুর লাশ!!