জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায় বহির্বিশ্বের তুলনায় অনেক কম, যার কারণে দেশটি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের উন্নয়নে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি নাগরিককে তার সামর্থ্য অনুযায়ী ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের যৌথ আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ অত্যন্ত কম। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপে ৪৫%, আমেরিকায় ৩৫%, জাপানে ২৪% ট্যাক্স আদায় হলেও বাংলাদেশে এটি মাত্র ৭% এর কিছুটা বেশি। এই কারণে ঋণ নিতে হয় এবং বিশাল জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য অর্থ প্রয়োজন। সুতরাং, রাজস্ব আয় বাড়ানো অপরিহার্য।
এনবিআর চেয়ারম্যান সেবাগ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি আয়কর বিভাগের কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতির সাথে যুক্ত হন বা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করেন, তবে অনলাইনে অভিযোগ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর একীভূতভাবে ভ্যাট আইন সিস্টেম পুনর্গঠন করতে চায়, যাতে সকলকে একই প্রক্রিয়ায় এই সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবায়দুল হক চান। এ সময় এনবিআরের মেম্বার বদিউল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে হয়রানি বন্ধ করার বিষয়ে বিভিন্ন দাবি ওঠে।