বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, এবং ঢাকাও এর বাইরে নয়। দিন দিন ঢাকার বাতাসের মান দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। চলতি বছরের শুরুতেই, কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাস ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
আজ, সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে, ২০৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের শহর লাহোর রয়েছে শীর্ষে, যা স্থানীয়দের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। একই সময়ে, ১৯২ স্কোর নিয়ে মিসরের কায়রো দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, আর ঢাকার স্কোর ১০৫, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে এবং ১৪তম অবস্থানে রয়েছে।
আইকিউএয়ার স্কোরের মাপকাঠি অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ স্কোরকে ‘ভালো’ হিসেবে ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরের বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং ২০১ থেকে ৩০০ স্কোর ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থদের জন্য বাড়ির মধ্যে থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
আরও ভয়াবহ, ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা নগরবাসীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।
এছাড়া, বায়ুদূষণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় প্রধানত পাঁচটি উপাদান, যেমন পিএম১০ ও পিএম২.৫, এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোনের (ও৩) মাধ্যমে। বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তোলে।