ঋতিল মনীষা
বাসন্তিকা মেয়েটিকে খুঁজি
সে ছিল প্রকৃতির চমৎকার রূপকার
মায়ার সংসারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো লতাটির মত
মিশে গেছে সে বৃক্ষ বাকলে।
বুকের উপর বয়ে যাওয়া কত হাওয়ার অনল
ভরন্ত চোখে টলমলে শান্ত জল,
কত জৈষ্ঠ্যের পাকা রোদ, অবিরল শ্রাবণ, সুগন্ধী ফসলী হেমন্ত
শীতের কড়া মিচ্ছিরি দুঃখ আমি জেনেছি
বেদনার কুহকে সতত স্বচ্ছ এ মন
বসন্ত ফুরাবার আগেই আমাদের হৃদয় ফুরিয়ে যায়
সুখ বিলাসে উদ্ভ্রান্ত খাগের কলম শিখেছে নকশা বোনা
গায়ে গায়ে রূপে বেঁধেছে ঘর, লোহার বাসর
আঁচলে হলুদ, সুখঅশ্রু বাঁধা দেয় দুঃখ মুক্তি,
নিভু নিভু প্রদীপ ঝড় ঝাপটার রাতে
অমোঘ নিয়তি জেনে অপেক্ষার প্রহরে
ঘরের চাল হয়ে বসে থাকে ঠাঁই জীবন মৃত্যুর ইঞ্চি ফারাকে,
প্রতিটি বসন্তী আসলে মা পাখি
নিজের সূর্যে পুড়ে গিয়ে আলো ছড়ায় ।