প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক ও অ্যান্ড্রু হেরাপ। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক এবং অ্যান্ড্রু হেরুপ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন মিশনের প্রধান ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, মিয়ানমার সরকার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুলিক বলেন, “আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত প্রশংসনীয়, কারণ আপনি রোহিঙ্গা সংকটকে আলাদাভাবে না দেখে মিয়ানমার পরিস্থিতিকে একটি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক সহযোগিতা, সংযুক্ততা ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তা তুলে ধরে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তার পুনরায় চালু এবং পাল্টা শুল্ক আরোপে ৯০ দিনের বিরতি দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, “আমরা তার বাণিজ্যিক কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”