বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী ড্রোন শোতে স্মরণ করা হলো জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে এই অনুষ্ঠানের সূচনাই হয়েছিল শোষণ ও শাসনের খাঁচা ভেঙে পাখির মুক্ত উড়াল দিয়ে—একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রতীকী উপস্থাপনায়।
প্রায় ১৫ মিনিটের এই প্রদর্শনীতে ২,৬০০ ড্রোনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় ৩৬ জুলাই অভ্যুত্থানের নানান গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। শহীদ আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য ছিল প্রদর্শনীর অন্যতম আবেগঘন অংশ। একইভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় শহীদ মীর মুদ্ধকে, যিনি বিক্ষোভকারীদের জন্য পানির কেস হাতে ছুটে গিয়ে বলছিলেন, “পানি লাগবে, পানি।”
ড্রোনের আলোয় ভেসে ওঠে নারীর বিপ্লবী ভূমিকা, সাধারণ মানুষের প্রতীক হয়ে ওঠা রিকশাচালকের প্রতিচ্ছবি, জাতীয় ফুল শাপলা, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ২০২৪-এর বিপ্লবের চিত্র, ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা, শান্তির দূত, এবং বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর ৫০ বছরের সম্পর্ক।
সবশেষে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে জানানো হয় শুভেচ্ছা।
ড্রোন প্রদর্শনীর আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আর কারিগরি সহায়তা দেয় ঢাকায় চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠান ঘিরে বিকেল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে। বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় কনসার্ট, যার পরই ড্রোন শোর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের উপহার দেওয়া হয় স্মৃতি, সংকল্প ও স্বপ্নের এক অনন্য সম্মিলন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ।