রফিক ইসলাম
কে ঢেকে দিলো উন অমাবস্যায় জ্যোৎস্নার আলো
কে মেখে দিলো সিঁথির খাঁজে নিশীথের কালো
সিঁদুর পৌরে জমা হয়েছে ছাই
পোড়াকপালি যে তাই!
মোহর ঘাটে সিলমোহর হাতে যে চৌকাঠ তার দেহ সিলগালা
আড়ালে যাত্রাপালা…
বিবেকের কন্ঠ অংকের নামতা নীলকণ্টক মুকুট পরা যে ভোর
খানাখন্দে ভরা তার শীর্ণ বুকে ঠেলাগাড়ীর আর্ত সুর।
অসুরের দেবতারে কে দিল নির্লিপ্ত রূপ,
কেড়ে নিল ফুলজোড় ঘাট
বটতলার ছায়ায় নিশঙ্ক দূর্বাঘাসে সান্দ্র মায়ার পাঠ
পাঁজরের দুপাশে প্রসারিত শর্ষের মাঠ
গোধূলির রক্তস্নানে পবিত্র করে আপন শব যাত্রা।
শৈশবের ফলদ কুল গাছটাও আজ নিজেই কূলহারা।
অস্তিত্বের দ্ব্যর্থতা ভুলে তাতে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক গুচ্ছ নিষিদ্ধ আলোক লতা।
কালের স্বাক্ষী একমাত্র কবরস্থান –
সে ও আজ অর্ধমৃত, নির্জন-নীরবতায় টানে শত সহাবস্থান।
বিকলাঙ্গ কুয়াশায় সটকে আছে মন,
স্মৃতির কাননে এ কোন অকাল জরা,
ভীষণ অবহেলায় পরে থাকে ধূলি
চিত্তে ভীষণ খরা।